মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র মিরপুর ঢাকা

গোল্ডেন লাইফ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সর্বপ্রথম এবং স্বনামধন্য একটি মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। মাদকাসক্তির যে কোনো সমস্যা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জন্য আমরা অনুসরণ করি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং কার্যকরী পেশাদারি সেবা। রোগীদের মাদকাসক্তি সহ অন্নান্য আচরণগত সমস্যায় সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে আমাদের রয়েছে আন্তর্জাতিক সার্টিফায়েড , প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল বিশেষজ্ঞ এবং সুযোগ্য পেশাদার কর্মীদল। মাদক নয় চাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ,তাই এখনই বলবো আসুন মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি। মাদক কোনো ছেলে খেলা নয়। মায়ের চোখের জল , বাবার দীর্ঘশ্বাস। মাদক কারো সমস্যা সমাধান করতে পারেনা। বরঞ্চ পরিবার ত্ত পরিজন ধ্বংস করার মূল কারণ হলো মাদক। তাই মাদকাসক্তদের জন্য চিকিৎসার উদ্যোগ নিন, লজ্জা না করে আসুন , আমরা আছি আপনার পাশে।
আমাদের সেবাসমূহ
প্রত্যেক মাদকাসক্তের জন্য নিরাময় সুযোগ সহ উপযোগী সুব্যবস্থা চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।
আমাদের প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিবেশে।
রয়েছে অত্যাধুনিক বেডিং সিস্টেম।
প্রতি বেলায় স্বাস্থসম্মত ও সুষম খাবারের সু-ব্যবস্থা।
মনোরম পরিবেশে বিভিন্ন ক্লাস/ সেশনের আধুনিক পদ্ধতি।
শারীরিক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক উপায়ে পরিপূর্ণ নিরাময় এর জন্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন বিশেষজ্ঞের সঠিক দিক নির্দেশনা।
মোটিভেশন/কনসালটেশন , এসেসমেন্ট , মেডিকেল চেক-আপ, ডিটোক্সিফিকেশন ,শারীরিক ও সাইক্রিয়াটিক চিকিৎসা।
ব্যক্তিগত কাউন্সিলিং ,পারিবারিক কাউন্সিলিং ,কেস ম্যানেজমেন্ট , মনো-সামাজিক শিক্ষামূলক ক্লাস , রিল্যাপ্স প্রিভেনশন ,প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
ওয়ার্ক কন্ডিশনিং অর্থাৎ মাদক ছাড়া দৈনিন্দিন কাজে কর্মে অভস্ত করে তোলা, বিনোদন ও খেলাধুলা,শিথিলায়ন ও ধ্যান এবং গ্রূপ মিটিং।
পারিবারিক সভা ও ক্লাস , পারিবারিক সম্পর্কউন্নয়ন , ফলো-আপ ও আফটার কেয়ার , আত্মসহায়তা দল ও দলগত চিকিৎসা ।
আছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা একজন মাদক আশক্ত বেক্তিকে চাপ নিরাময় করার জন্য গ্রুপ শেয়ারিং ও বেক্তিগত শেয়ারিং। এর ফলে তার মনের অবস্থা ভাল থাকে।
মাদক ও মানসিক সমস্যা সমাধানে আমাদের চিকিৎসা সেবা সমূহ :
মোটিভেশন / কন্সালটেশন।
এসেসমেন্ট।
আমরা মাদকাসক্তি এবং মানসিক রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবংসাইক্রিয়াটিস্ট ও ড্রাগ এডিকশন প্রোফেসনাল দ্বারা ( গোপনীয়তা অবলম্বন করে ) দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের অভিজ্ঞতা
শুধু সরকার ও পুলিশ দ্বারা মাদকের অপব্যবহার বন্ধ করা সম্বভ না। আজ স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটির ছাত্র/ছাত্রী সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা , কর্মচারীরাও মাদকের ছোবল থেকে দূরে নেই। অধিকাংশ শ্রেণী পেশার মানুষ আজ মাদকের ভয়াবহতা না জানার কারণে মাদক গ্রহণ করে যাচ্ছে। তাই সন্তানকে ভালো মানুষ করার আগে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমরা প্রতিদিন যদি কিছু ভালো কাজ করি আর সেগুলো আমরা সন্তান ও পরিবারের কাছে কাছে বলি তাতে পরিবারের সদস্যদের ভালো কাজ করার উৎসাহ তৈরি হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে সময় কাটাতে হবে। পারিবারিক মূল্যবোধ হচ্ছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা আগে জানতাম মাদক কে বিক্রি করে, কোথায় পাওয়া যায় ,তাদেরকে আইনের কাছে সমর্পন করতাম কিন্তু এখন আপনার ছেলে, আমার ভাই মাদক বিক্রেতা। তার বন্ধুর আজ বার্থডে সে বাড়ি আসবেনা কারণ ওখানে ডিজে পার্টি হবে, বন্ধুরা মদ ,গাজা , ইয়াবা দিয়ে বার্থডে পালন করবে। তারপর থেকে নতুন নতুন বন্ধুরা তার বাড়িতে আসবে তাকে খুঁজতে , আবার অনেক বন্ধু ইন্টারনেট থেকে জুড়ে যাবে। আজ ঘরবদ্ধ রেখে ছেলে মেয়েকে মানুষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ এখন ইন্টারনেট এর যুগ।
আজ পত্রিকার পাতা খুললে , টেলিভিশন অন করলেই দেখি , ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা মাকে মেরে ফেলে রেখেছে তাদেরই প্রিয় সন্তান , মা খুনি ভাড়া করে সন্তানকে খুন করছে , বাবা সামান্য কিছু টাকার জন্য সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে , স্বামী তার স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করছে , টাকা না দিলে স্ত্রীর হাতের আঙ্গুল কেটে নিচ্ছে , অনুসন্ধান করে দেখা যায় এসব নিসংশতার পিছনে কারণ আর কিছুই নয় ভয়ঙ্কর সব মাদক। তাই ঘৃণা নয় ওদের সার্বিকভাবে সহোযোগিতা করার চেষ্টা করুন নয়তো আমরা কেউ নিরাপদ না। সমাজ নিরাপদ ,আপনি নিরাপদ ,পরিবারের আগে সমাজ , সমাজের আগে দেশ ,আমার সোনার বাংলাদেশ। আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি মাদক গ্রহণ করে তাহলে দেরি না করে ,না লুকিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, কারণ সমস্যা লুকিয়ে রাখলে সমাধান হবে না। বরং বাড়বে , আসুন আমরা সকলে মিলে মাদকের শিকল থেকে মাদকাসক্ত প্রিয় মানুষটিকে মুক্ত করি আর সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলি। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সুস্থ সুন্দর স্বাবাভিক জীবনের উৎসবে ফিরিয়ে আনি। মাদকাশক্ত বেক্তি পাগল নয়, কোনো খারাপ বেক্তি নয় এবং খারাপ ছিলও না, পরিবেশের কারনে অসৎ সঙ্গের করনে সে আজ পরিস্থিতির স্বীকার। সে আমাদেরই ভাই, আমাদেরই ছেলে, আমাদেরই কারো স্বামী, আসুন সবাই মিলে একসাথে মাদক আশক্ত বেক্তিকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনি কারন সে আমাদেরই আদরের প্রিয়জন।